ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফকিরকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই শিক্ষকের নাম মোছা. মর্জিনা বেগম। তার স্বামী-ছেলে এবং ছেলের বউ ইতোমধ্যে আমেরিকায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহলের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক হাজিরা খাতায় গত ২ জুন তারিখ পর্যন্ত মর্জিনা বেগমের স্বাক্ষর রয়েছে। ৩ জুন তারিখ হতে অদ্যাবধি হাজিরা খাতায় তার নামের স্থান ফাকা রয়েছে। ২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন বলেও জানা যায়।জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়ানাধীন ফকিরেরকুটি এলাকার রানু মিয়া তার ছেলের সুবাদে আমেরিকায় গিয়ে নাগরিকত্ব নেন। রানু মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম স্থানীয় ফকিরেরকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনিও এখন নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য নিয়মিত প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে আমেরিকায় অবস্থানের জন্য নামে মাত্র ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন বিনা ছুটিতে সে দেশে অবস্থান করেন। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
0 Comments