1

Ticker

6/recent/ticker-posts

মাংস চুরির অভিযোগে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে রিনা খাতুন প্রতিবেশী রিপন আলীর ঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাংস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় রিপনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন রিনাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং বাড়ির উঠানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে মাংস কেড়ে নেন। এরপর রিনার স্বামী জাহাঙ্গীর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয় নজরুল, কাশেম, রিপনসহ অনেকেই রাত ৮টার দিকে রিনার বাড়িতে ভাঙচুর করে তাকে তুলে নিয়ে ফের রিপনের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। পরে সেখানে রিনার স্বজন ও এলাকাবাসী নিয়ে সালিশ বসায় শিলাইদহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহ আলম। সালিশে রিনার দুইটা গরু, একটা ছাগল ও স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রিনা খাতুন। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও মাথার চুল কাটা রয়েছে।

এ সময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রিপন বলেন, রিনা ঘর থেকে ৪১ হাজার টাকা ও মাংস চুরি করে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। রিনা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করেছে। সেই রাগে লোকজন ধরে মারধর করে চুল কেটেছে। আমরা এর সঙ্গে জড়িত নয়।

রিপনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন বলেন, ‘আমি দড়ি দিয়ে বেঁধে একটা চর মারিছি। কিন্তু কারা চুল কাটেছে তা জানি না।’ 

অভিযুক্ত কাশেম বলেন, রিনা বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাতে সালিশে তার গরু, ছাগল নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সব বিষয়ে মেম্বারের সঙ্গে কথা বলুন।

গরু ও ছাগলের কথা অস্বীকার করেছেন শিলাইদহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু ওই নারীকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছি। আর কি ঘটেছে তা জানি না। তবে আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।


 


Post a Comment

0 Comments